২০২৫ বর্ষ হজ্ব নিবন্ধন চলমান
মক্কা মদিনার যিয়ারত ভাগ্যে আনার উপায়
H M Amdad Ullah
11/29/20241 min read
মক্কা মদিনার যিয়ারত ভাগ্যে আনার উপায়..
এইচ এম এমদাদ উল্লাহ, কুইক ফ্লাই ইন্টারন্যাশনাল
الحمد لله والصلاة والسلام على نبينا محمد. قال تعالى في كتابه العزيز. أتم الحج والعمرة لله
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার, যিনি সৃষ্টি করেছেন সমস্ত বিশ্ব জাহান, এবং সৃষ্টিকর্তা কর্তা হিসেবে নিজেকে ঘোষনা দিয়েছেন। তিনি অতিশয় দয়ালের অধিকারী। তিনি আমাদের উপর কতটুকু সন্তুষ্ট বা দয়াশীল, যে তিনি আমাদের জন্য শেষ নবী হিসেবে হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে পাঠিয়েছেন। তাকে শুধু আমাদের জন্য প্রেরণই করেন নি, তার মাধ্যমে আমাদেরকে নাজাত বা মুক্তি দেবার অসংখ্য পথ দেখিয়েছেন। আমরা তার উম্মত হিসেবে অনেক সৌভাগ্যবান। আমাদের নাজাতের জন্য ইসলামকে আমাদের ধর্ম হিসেবে নির্ধারণ করে দিয়েছেন। যেই ধর্ম ৫ টি খুঁটির উপর দাঁড়িয়ে আছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো হজ্জ। এই হজ্জ পালনের মাধ্যমে আল্লাহর ঘর বাইতুল্লাহ যিয়ারত সহ রাসুল (সা.)) এর রওযা জিয়ারত করার সুযোগ মিলে। পাশাপাশি জীবন দর্শন পরিবর্তন করা ও মালিককে কাছ থেকে খোঁজার বিশেষ সুযোগ পাওয়া যায়। হজ্জ সবার জন্য ফরজ নয়। যাদের অর্থনৈতিক ও শারিরীক সক্ষমতা রয়েছে কেবল তাদের উপরই হজ্ব ফরজ। কারন সম্পূর্ণ ইবাদতে শারিরীক কসরত ও অর্ধের যোগান দেয়ার মাধ্যমে পালন করা প্রয়োজন।
অনেক অর্থ ও শারিরীক সক্ষমতা থাকার পরও তাদের কপালে বায়তুল্লাহ যিয়ারত নসিব হয়না। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় টাকা পয়সা না থাকার পরও আল্লাহ রাব্বুল আলামিন অনেক কে বায়তুল্লাহ যিয়ারতের সুযোগ করে দেন। মানুষের সকল কাজের ফলাফল আল্লাহ পাক তার নিয়তের উপর কবুল করেন। কেননা রাসুল (সা.) বলেছেন, বুখারি শরিফ থেকে আমরা জানি যে, إنما الأعمال بالنيات.
আপনি যদি সত্যিকার অর্থে বাইতুল্লাহ যিয়ারত ও রাসুলের রওযায় সালাম দিতে চান তাহলে অবশ্যই আল্লাহ পাক আপনাকে মক্কা মদিনা দেখার সুযোগ করে দিবেন। মানুষকে আল্লাহ পাকের খুব কাছে নিয়ে যেত যে আমল সব থেকে বেশি কাজ করে তা হলো, ইস্তেগফার, আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়া ইস্তেগফার, ইস্তেগফার করার সবচেয়ে সহজ ও ছোট শব্দমালা হচ্ছে আস্তাগফিরুল্লাহ। (استغفرالله) এই ইস্তেগফারের আমল আপনাকে কোথায় নিয়ে যাবে তা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। তাই যখনই সময় পাবেন বা কাজের ফাঁকে এই ইস্তেগফারের এর আমল প্রতিনিয়ত করতে থাকবেন।
আরেক আমল যেটা কিনা আপনাকে রাসুলের সুপারিশ পাবার কাজে লাগবে. পরকালের কঠিন মুহূর্তে যখন কোন কিছুই আপনার কাজে আসবে না তখন রাসুলের সুপারিশ আপনাকে পরকালের কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে মুক্তি দিবে। আর এই সুপারিশ পাবার জন্য আপনাকে বেশি বেশি দুরুদ পরতে হবে। হাদিসে অনেক দুরুদ পাওয়া যায় তার মধ্যে দুরুদে ইবরাহিম অন্যতম, যেটি আমরা নামাযের মধ্যে পাঠ করি। এছাড়াও ছোট ছোটো কিছু দুরুদ আছে, যেমন (اللهم صل وسلم علئ نبينا محمد) ইস্তেগফারের পাশাপাশি আমরা বেশিবশি দুরুদও পাঠ করব। আপনি যদি পবিত্র হজ্ব এবং উমরা পালন করতে চান, তাহলে খাস নিয়তে আল্লাহর কাছে আরজি পেশ করুন, ইস্তেগফার ও দুরুদ পাঠের মাধ্যমে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আপনাকে ও আমাদের সবাইকে হেদায়েত নসিব করুন এবং জীবদ্দশায় তার ঘর বাইতুল্লাহ যিয়ারত ও মদিনা শরিফে সালাম প্রদান করার তৌফিক দান করুক। মায়াসসালাম!